Monday, 4 May 2015

জ্যোতিষী বা ভাগ্যগননা বা রাশিফল সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?



জ্যোতিষী বা ভাগ্যগননা বা রাশিফল সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
আমাদের দেশ রাশি গননা একটা বহুল প্রচলিত ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। প্রায় সকল পত্রিকায় প্রতিদিন দেখা যায় বিভিন্ন রাশির মানুষের দিনটি কেমন যাবে তা র্বণনা করা। অথচ আমরা অনেকে জানিও না যে এটা একটা নিষিদ্ধ কাজ। আবার অনেকে জেনেও মানে না। না জানার কারণ অবশ্য আমাদের অজ্ঞতা। এসব অজ্ঞতার জন্য আজ আমাদের সমাজে বহু কুসংস্কার জেঁকে বসেছে। আজ আমরা নামে মুসলিম কিন্তু আমাদের বেশির ভাগেরই ভাগ্য তাদের প্রান প্রিয় র্ধম গন্থটি একবার অর্থ সহ পড়ার সময় হয় না। আমরা অনর্থক কাজে অনেক সময় নষ্ট করি কিন্তু আমাদের দিনে দুটি হাদিস পড়ার সময় হয় না। আমরা বহু বই পড়ি কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে জানতে একটু ইসলাম সম্পর্কিত বই পড়ি না।
“ সাফিয়্যা বিনতে আবু উবাইদ (রা) নবী ( সা) এর কোন একজন স্ত্রীর মাধ্যমে নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি (নবী সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি গনকের কাছে গিয়ে কোন বিষয় জানতে চাইল এবং তাকে (সে যা বলল তা) বিশ্বাস করল, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামায কবুল হবে না।
ইমাম মুসলিম হাদিসটি বর্ণনা করেছেন

কাবীসা ইবনুল মুখারিক রো) থেকে বণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা) কে বলতে শুনিেছ ঃ ‘ইয়াফাহ’ অর্থাৎ রেখা টেনে, ‘ তাইরাহ’ অর্থাৎ কোন কিছু দেখে এবং ‘তারক’ অর্থাৎ পাখি হাঁকিয়ে শুভাশভ নির্ণয় আল্লাহ দ্রোহিতা মূলক কাজ।
এমনকি জ্যোতিষের বক্তব্যের সত্যতায় সন্দিহান হওয়া সত্ত্বেও একজনের শুধু তার কাছে যাওয়া এবং প্রশ্ন করার শাস্তি এই হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যদি কেউ জ্যোতিষ-সংক্রান্ত তথ্যাদির
সত্য মিথ্যায় সন্দিহান হয়,তবে সে আল্লাহর পাশাপাশি অন্যরাও হয়তো অদৃশ্য এবং ভবিষ্যৎ
সম্বন্ধে জানে বলে সন্দেহ পোষণ করে।

এটা এক ধরনের শিরক। কারণ আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেনঃ
“অদৃশ্যের কুঞ্জি তাঁহারই নিকট রহিয়াছে, তিনি ব্যতীত কেহ জানে না।”
[সূরা আন- আনআমঃ ৫৯]
“বল আল্লাহ ব্যতীত আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে কেহই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না।” 
[সুরা আন-নামল: ৬৫]

যতই জ্যোতিষ বলুক অথবা যা কিছুই জ্যোতিষশাস্ত্রের বইয়ে থাকুক, কেউ তার রাশিচক্রে প্রদত্ত
ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বাস করলে সে সরাসরি কুফরি (অবিশ্বাস) করে। 
কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
”যে একজন ভবিষ্যতদ্রষ্টা গণকের নিকট গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল,মুহাম্মদের নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছিল সে তা অবিশ্বাস করল।” [আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্নিত এবং আহামাদ ও আবু দাউদ কর্তৃক সংগৃহীত]

আসুন আমরা ইসলাম সম্পর্কে জানি এবং তা মেনে চলার চেষ্ট করি।

1 comment: