Monday, 26 October 2015

সৌদী আরবে গিয়ে হজ্ব করে এসেছি আমরা অনেকেই : মাযহাবী ধ্যান-জ্ঞান এতই প্রবল যে, সহীহ জিনিষ পেটে পুরে দিলেও প্রয়োজনে বমি করবো




M Towfiqur Rahman
 
সৌদী আরবে গিয়ে হজ্ব করে এসেছি আমরা অনেকেই;
.
.
কিন্তু আফসোস! সেখানে পঠিত নামাযটাই আনতে পারিনি।
আমাদের মধ্যে মাযহাবী ধ্যান-জ্ঞান এতই প্রবল যে, সহীহ জিনিষ পেটে পুরে দিলেও প্রয়োজনে বমি করবো, কিন্তু হজম করবো না। চোখে দেখেও না। এর কারণ কি?
হজ্ব করে এসেছি;
অথচ
আমাদের ইকামত পরিবর্তন হয়নি,
কিয়াম সংশোধন হয়নি,
আমাদের সূরা ফাতিহার তেলাওয়াত ঠিক নেই,
আমাদের রুকু-সিজদায় সময় দান সঠিক নেই,
সুন্নাহ লোকজনের অন্তরালে আদায়ের আগ্রহ নেই,
তাসবিহ ছাড়তে পারিনি,
সম্মিলিত মুনাজাতের ভুততো আগের মতোই।
মুখস্ত খুতবার প্রাকটিস সেও তথৈবচ
আরো কতকি?
তাহলে, কি এনেছি আমরা?
তাসবিহদানা
জায়নামায
স্বর্ণ
পোষাক
নানা জাতের খেুজর
৫ গ্যালন জমজমের পানি
সৌদী উপহার কুরআন
এগুলো।
একটু সচেতন হওয়া কি জরুরী নয়? সারা জীবন নামায পড়ছি, অথচ এখনো অনেক সহীহ হাদীসের উপর আমলই করতে বাকী। কিভাবে মানা যায় এ সব। কতটা দরদ দিয়ে হারামাইন থেকে নামায সংশোধনের জন্য ফ্রি বই দিচ্ছে। তাতেও কি ভাববার কিছু নেই। সব সহীহ হাদীসগুলোতো রাসূল সা. এর। বুখারী আর মুসলিম শরীফের বিশুদ্ধতার উপর এখনো কিতাব নেই। তাহলে?
আমাদের ভাববার, আমল করবার সময় কিন্তু দুনিয়াতে, মরার পর আর কোন সময় নেই। আমাদের কাবার দিকে, কাবা থেকে প্রদত্ত নির্দেশনার দিকে ফিরে যাওয়া খুবই জরুরী। কেননা, এ প্রতিষ্ঠানটি এখনো সর্বাধিক বিশুদ্ধ বক্তব্য দিয়ে থাকে। তাই যুক্তিতে তাদের মানাই নিরাপদ। যদি একটু সময় নিয়ে ভাবি। আল্লাহ অমাদের তওফিক দিন I

No comments:

Post a Comment