Tuesday, 24 November 2015


Friday, 13 November 2015

মুছলিম সকলৰ মাজত বহুল ভাবে প্ৰচলিত কেইটামান -শ্বিৰকি আৰু কুফৰী কাম

Mukib Rahman to ইছলামৰ সঠিক আকিদাহ আৰু আমল (অসম)
9 hrs ·
মুছলিম সকলৰ মাজত বহুল ভাবে প্ৰচলিত কেইটামান -শ্বিৰকি আৰু কুফৰী কাম
👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻
১. আল্লাহৰ বাহিৰে আন কাৰো নামত শপত খোৱা ৷
২. গ্ৰহ-নক্ষত্ৰক মানুহৰ ভাগ্যৰ কল্যান বা অকল্যানকাৰী বুলি বিস্বাস কৰা ৷
৩. সুলক্ষণ বা কুলক্ষণত বিশ্বাস কৰ ৷
৪. যুগ বা সময়ক গালি দিয়া।
৫. তকদীৰৰ প্ৰতি অসন্তুষ্ট হোৱা।
৬. কল্যাণৰ আশাত আঙুঠি , তাৱীজ , মালা আদি পৰিধান কৰা ।
৭. ৰছুল (ছঃ) আৰু অলি আউলিয়া সকল গায়িব
জানে বুলি বিশ্বাস কৰা।
৮. জ্যোতিষী আৰু গণকৰ কথা বিশ্বাস কৰা ।
৯. হাত চাই ভাগ্য নিৰ্ধাৰণ কৰা।
১০. ছালাত (নামাজ) পৰিত্যাগ কৰা।
১১. দ্বীনৰ কোন বিষয়ক লৈ ঠাট্টা বা তাচ্ছিল্য কৰা।
১২. বিজাতীয় কুফৰী মতবাদ (যেনে: ধৰ্মনিৰপেক্ষতা , গণতন্ত্ৰ , বিৱৰ্তনবাদ আদিত) বিশ্বাস কৰা কিংবা এইবোৰ লৈ সন্তুষ্ট থকা ।
১৩. আল্লাহক এৰি পীৰ, কবৰ, মাজাৰ বা আন কোনোবাৰ ওচৰত ছিজদা কৰা।
১৪. জিন্দা পীৰ , মুৰ্দা পীৰ চাহাবৰ ওচৰত বা কবৰ, মাজাৰত কিবা বিচৰা ।
১৫. পীৰে জান্নাতলৈ লৈ যাব পাৰে , এনেকুৱা বিশ্বাস (আকীদা) ৰখা ।
১৬. কবৰত উৰুছ, মেলা আদিৰ অনুষ্ঠান উদযাপন কৰা আৰু এই উপলক্ষে তাত নানা ৰকম শ্বিৰকি কামত লিপ্ত হোৱা ।
১৭. মাজাৰত দান-বৰঙনি দিয়া ।
১৮. ৰিয়া অৰ্থাৎ মানুহক দেখুওৱাবৰ বাবে ইবাদত কৰা ।

Thursday, 12 November 2015

শয়তান তার সিংহাসনকে পানির উপর স্থাপন করে : তারপর মানব সমাজে তার বাহিনীসমূহ প্রেরণ করে


হযরত জাবির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘শয়তান তার সিংহাসনকে পানির উপর স্থাপন করে। তারপর মানব সমাজে তার বাহিনীসমূহ প্রেরণ করে। তার দৃষ্টিতে ফেৎনা সৃষ্টি করায় যে যত বড়, মর্যাদায় সে তত বেশী নৈকট্যের অধিকারী। তাদের কেউ একজন আসে আর বলে যে, আমি অমুকের পেছনে লেগেই থাকি। অবশেষে তাকে এমন অবস্থায় রেখে এসেছি যে, সে এমন এমন জঘন্য কথা বলে বেড়াচ্ছে। একথা শুনে ইবলীস বলে, না, আল্লাহর শপথ! তুমি কিছুই করনি।
আবার আরেক জন এসে বলে, আমি অমুক ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়েই তবে ছেড়েছি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, একথা শুনে শয়তান তাকে কাছে টেনে নেয় এবং বলে, কত উত্তম কাজই না তুমি করেছো ’
[মুসলিম হা/২৮১৩; মিশকাত ‘ঈমান’ অধ্যায়, হা/৭১]

সাতটি ধ্বংসাত্মক জিনিস থেকে বেঁচে থাক : যাদু শিরকের অন্তর্ভুক্ত---------------

যদি কেউ যাদুর মাধ্যমে ভাল কিছু অর্জন বা মন্দ কিছু বর্জন করতে চায় অথবা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক স্থাপন বা ভাঙ্গন ধরাতে গোপন, প্রকাশ্য, মন্ত্র-তন্ত্র করতে চায় অথবা কারো সাথে (ছেলে-মেয়ে) সম্পর্ক স্থাপন বা বন্ধুত্বে ফাঁটল ধরাতে চায় তবে তা সম্পূর্ণরূপে কুফরী। যে ব্যক্তি এমন কাজ করবে এবং যে ব্যক্তি এর প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে উভয়ই কুফরী করল।
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
‘তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক জিনিস থেকে বেঁচে থাক। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ঐ ধ্বংসাত্মক জিনিসগুলো কি? তিনি বললেন, (১) আল্লাহ্র সাথে শিরক করা (২) যাদু করা (৩) অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, যা আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন (৪) সূদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা (৬) যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা (৭) সতী-সাধ্বী মুমিন মহিলাকে অপবাদ দেয়া’।[16]
আল্লাহ রাববুল আলামীন যাদুকে কুফরী ও শয়তানী শিক্ষা হিসাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, وَلَكِنَّ الشَّيَاطِيْنَ كَفَرُوْا يُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ ‘কিন্তু শয়তানরাই কুফরী করেছিল তারা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত’ (বাক্বারাহ ১০২)। অত্র আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন, وَلَقَدْ عَلِمُوْا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلاَقٍ ‘তারা ভালরূপেই জানে যে, যে কেউ যাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই’ (বাক্বারাহ ১০২)।
যাদুর শ্রেণীভুক্ত কিছু বিষয় :
(ক) আউফ (রাঃ) বলেন, ‘ইয়াফা’ হচ্ছে পাখি উড়িয়ে ভাগ্য গণনা করা। ‘তারক’ হচ্ছে মাটিতে রেখা টেনে ভাগ্য গণনা করা। হাসান বলেন, ‘জিবত’ হচ্ছে শয়তানের মন্ত্র।[17] ওমর (রাঃ) বলেন, ‘জিবত’ হচ্ছে যাদু’।[18]
(খ) ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন,مَنِ اقْتَبَسَ عِلْمًا مِنَ النُّجُومِ اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ... ‘যে ব্যক্তি জ্যোতির্বিদ্যা থেকে কিছু অংশ শিখল সে মূলতঃ যাদুবিদ্যারই কিছু অংশ শিখল। এ (জ্যোতির্বিদ্যা) যত বাড়বে যাদুবিদ্যাও তত বাড়বে’।[19]
(ঘ) ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ مَا الْعَضْهُ هِىَ النَّمِيْمَةُ الْقَالَةُ بَيْنَ النَّاسِ ‘আমি কি তোমাদেরকে যাদু কি এ সম্পর্কে সংবাদ দিব না? তা হচ্ছে চোগলখুরী বা কুৎসা রটনা করা অর্থাৎ মানুষের মধ্যে কথা লাগানো বা বদনাম ছড়ানো’।[20]
দু’টি কারণে যাদু শিরকের অন্তর্ভুক্ত :
১। যাদু বিদ্যায় শয়তানকে ব্যবহার করা হয় এবং তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়।
২। যাদু বিদ্যায় ইলমে গায়েবের দাবী করা হয় এবং যাদুকরের জ্ঞান ও যাদুবিদ্যা অর্জনের ক্ষেত্রে আল্লাহ্র অংশীদারিত্বের দাবী করা হয়। এটা নিঃসন্দেহে শিরক এবং কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।[21]
যাদুকরের শাস্তি :
যাদুকররা কাফির ও হত্যাযোগ্য অপরাধী।[22]
বাজালা (রহঃ) বলেন, আমি আহনাফ ইবনে কায়সের চাচা মাযই ইবনে মু‘আবিয়ার কাতেব (সচিব) ছিলাম। ওমর (রাঃ)-এর মৃত্যুর একবছর পূর্বে তাঁর লেখা একখানা পত্র আমাদের হস্তগত হ’ল। তাতে লেখা ছিল, اقْتُلُوْا كُلَّ سَاحِرٍ ‘প্রত্যেক যাদুকরকে হত্যা কর’।[23]
ছহীহ বুখারীতে বর্ণিত আছে, ওমর (রাঃ) মুসলিম গভর্ণরদের কাছে পাঠানো নির্দেশনামায় লিখেছিলেন, ‘তোমরা প্রত্যেক যাদুকর পুরুষ এবং যাদুকর নারীকে হত্যা কর’। বাজালা বিন আবাদাহ বলেন, ‘এ নির্দেশের পর আমরা তিনজন যাদুকরকে হত্যা করেছি’।[24]
তবে ইমাম আহমাদ ও ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর মতে, যদি তারা তওবা করে তবে তাদের তওবা কবুল হবে ইনশাআল্লাহ। কারণ মুশরিকও তওবা করলে কবুল হয়, যেমন তওবা করেছিল ফিরআঊনের যাদুকররা।[25]
[17]. আহমাদের সনদে ফাতহুল মাজীদ ২৪৯ পৃঃ।
[18]. ফাতহুল মাজীদ ২৪৩ পৃঃ।
[19]. আবূদাঊদ হা/৩৯০৭; ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫৮, সনদ হাসান।
[20]. মুসলিম এর সনদে ফাহুল মাজীদ ২৫২ পৃঃ।
[21]. তাওহীদ মর্মকথা ১১৭ পৃঃ।
[22]. তাওহীদের মর্মকথা ১১৬ পৃঃ।
[23]. আবুদাউদ হা/৩০৪৩, সনদ ছহীহ।
[24]. বুখারী, আহমাদ ১/১৯০ পৃঃ।
[25]. ফাতহুল মাজীদ ২৪৭ পৃঃ।

রাত জাগার অপকারিতা_

(___________ রাত জাগার অপকারিতা_____________)
রাত জাগার অপকারিতা অনেক, যেমন:
১. রাত জাগার ফলে সুন্নতের বিরোধিতা হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার পূর্বে ঘুম ও এশার পর কথোপকথন অপছন্দ করতেন। আবু বারযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার পূর্বে ঘুম ও পরে কথাবার্তা অপছন্দ করতেন”। বুখারি: (৫৩৭), মুসলিম: (১০৩২)
২. রাত জাগার ফলে অনেক সময় ফজর সালাত জমাতের সাথে আদায় করা সম্ভব হয় না, যা পূর্ণ রাত কিয়াম করার সমতুল্য। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত: “যে ব্যক্তি জমাতের সাথে এশার সালাত আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত কিয়াম করল, আর যে এশা ও ফজর জমাতের সাথে আদায় করল, সে যেন পূর্ণ রাত কিয়াম করল”। [মুসলিম]
৩. আল্লাহ তা‘আলা নিজ হিকমতের দাবিতে মানব জাতির স্বস্তি, প্রশান্তি ও ক্লান্তি থেকে বিশ্রাম গ্রহণের জন্য সৃষ্টি করেছেন রাত, যে রাত জাগল সে আল্লাহর হিকমতের বিপরীত কাজ করল।
৪. রাত জাগার ফলে দিনে ঘুমের চাপ সৃষ্টি হয়, যে কারণে ব্যক্তির পেশা, অথবা ব্যবসা অথবা কৃষি অথবা শিক্ষাদান অথবা চাকুরী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতএব রাত জাগা মানুষের প্রকৃতি পরিপন্থী, যে প্রকৃতির ওপর আল্লাহ তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। রাত জাগার কারণে অনেক সময় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জমাতের সাথে আদায় করা সম্ভব হয় না, যা চরম বিপর্যয় ও মহা মুসিবত।
৫. রাত জাগার ফলে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন রোগের সূত্রপাত ঘটে। হ্যাঁ যে সুন্নত মোতাবেক রাত জেগে তাহাজ্জুদ, ইবাদাত, যিকর, দোয়া ও কুরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকে, তার রাত জাগা ক্ষতিকর নয়, বরং উপকারী। আমাদের সকলের কর্তব্য পার্থিব জগতের সংক্ষিপ্ত জীবনে ইবাদাতের জন্য প্রতিযোগিতার ময়দানে অবতীর্ণ হওয়া, যা আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন সফলতার চাবিকাঠি।
অতএব আল্লাহর রহমত প্রত্যাশাকারী ও তার শাস্তিতে ভীত প্রত্যেকের উচিত প্রথম রাতে ঘুমানো ও শেষ রাতে উঠা। অতঃপর সালাত, ইবাদাত, দোয়া, ইস্তেগফার ও তওবা ইত্যাদিতে মশগুল থাকা। হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তা‘আলা প্রতি রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। অতঃপর তিনি বলেন: “কে আমাকে আহ্বান করবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আমার নিকট প্রার্থনা করবে, আমি তাকে প্রদান করব? কে আমার নিকট ইস্তেগফার করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব?”। বুখারি: (১০৮৩), মুসলিম: (১২৬৭)
এসব ক্ষতি ও অপকারিতা হচ্ছে বৈধ কাজে রাত জাগার পরিণতি। আর হারাম কাজে রাত জাগার পরিণতি আরো মারাত্মক, আরো ভয়ঙ্কর, যেমন খেল-তামাশা, অশ্লীল বিনোদন ও পর্ণো সিরিয়াল দর্শনে মত্ত থাকা। কারণ মানুষের সময় ও হায়াত হচ্ছে ইবাদাতের জন্য, তাকে এ সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হবে, তাকে এর জবাবদিহি করতে হবে, অতঃপর সে তার ভালো-মন্দ কর্মের ফল ভোগ করবে। তাকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হবে: তার দেখা, তার শ্রবণ করা ও তার অন্তরে গোপন বিষয় সম্পর্কে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: “নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তঃকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে”। [সূরা ইসরা: (৩৬)] অন্যত্র ইরশাদ : “অতএব তোমার রবের কসম, আমি তাদের সকলকে অবশ্যই জেরা করব, তারা যা করত, সে সম্পর্কে”। [সূরা হিজর: (৯২-৯৩)]
______________________________________
বি দ্রঃ যার রাত জাগা ইবাদাত, তার পক্ষে তা উত্তম। কিন্তু যার জন্য রাত জাগা গুনাহের কারণ, তার পক্ষে তা ক্ষতিকর।
অতএব বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে এর সঠিক উত্তর প্রস্তুত করা, নিজের হিসাব নিজে কষা, সর্বদা গভীর দৃষ্টি রাখা: কি বলছে, কি করছে, কি নিচ্ছে ও দিচ্ছে! রাতে তাহাজ্জুদ আদায়কারী মুমিনদের প্রশংসা করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটাতো”। [সূরা যারিয়াত: (১৭)]
অন্যত্র ইরশাদ করেন: “তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে আলাদা হয়। তারা ভয় ও আশা নিয়ে তাদের রবকে ডাকে। আর আমি তাদেরকে যে রিযক দান করেছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে। অতঃপর কোন ব্যক্তি জানে না তাদের জন্য চোখ জুড়ানো কী জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তারা যা করত, তার বিনিময়স্বরূপ”। [সূরা সাজদাহ: (১৬-১৭)]
চিন্তা করুন কিয়ামুল লাইল আদায়কারীর জন্য আল্লাহ কত নিয়ামত গোপন রেখেছেন!!! অন্তরের সব চাহিদা পূরণ করা হবে: যা কোন চোখ দেখেনি, যা কোন কান শ্রবণ করেনি, মানুষের অন্তরে যার কল্পনা পর্যন্ত হয়নি। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: “যে ব্যক্তি রাতের প্রহরে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রব-এর রহমত প্রত্যাশা করে (সে কি তার সমান যে এরূপ করে না) বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে”। [সূরা যুমার: (৯)]
কিয়ামুল লাইল সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি মুয়ায ইব্‌ন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত করেন, হাদিসের অংশ: “... আমি কি তোমাকে কল্যাণের পথগুলো বলে দেব না: সওম ঢাল। সদাকা পাপ মোচন করে, যেমন পানি অগ্নি নির্বাপণ করে, অনুরূপ ব্যক্তির সালাত রাতের মধ্যভাগে ...” তিরমিযি: (২৫৫৮), ইমাম তিরমিযি হাদিসটি হাসান ও সহিহ বলেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা শেষ রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন যখন এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। তিনি বলেন: “কে আমাকে আহ্বান করবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আমার নিকট প্রার্থনা করবে, আমি তাকে প্রদান করব? কে আমার নিকট ইস্তেগফার করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব? যতক্ষণ না ফজর উদিত হয়”। [বুখারি ও মুসলিম]
আফসোস! বর্তমান যুগে অধিকাংশ লোক এ ফযিলত থেকে বঞ্চিত, বিশেষ করে যারা অর্ধেক রাত পর্যন্ত নাচ-গান ও অশ্লীল বিনোদনে মেতে থাকে, অতঃপর ফজর সালাত সূর্য উঠার পর অসময়ে কাযা করে। আহ্! কত বড় বিপর্যয়! কত বড় মুসিবত!
By:sorol poth

Sunday, 8 November 2015

Secular বা ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ কি জিনিস ?


Secular বা ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ কি জিনিস ? আসুন এর অর্থ জেনে নিই।

যদি বাংলা একাডেমী'র ইংরেজি থেকে বাংলা অভিধান খুলি তবে এর অর্থ লেখা আছে- এটি এমন একটি মতবাদ যেখানে নৈতিকতা ও শিক্ষা ধর্মকেন্দ্রিক হওয়া উচিৎ নয়।

এবার বুঝুন এটি কি জিনিস যার জন্য নামধারী মুসলিমরা লাফালাফি করছে।