Showing posts with label BIDATH. Show all posts
Showing posts with label BIDATH. Show all posts

Friday, 1 January 2016

নৱবৰ্ষৰ উৎসৱত ,ডাক অথবা ইন্টাৰনেটৰ জৰিয়তে শুভেচ্ছা বিনিময় , মুছলমানসকলৰ কাৰণে বৈধ নহয়

নৱবৰ্ষৰ উৎসৱ ,ডাক অথবা ইন্টাৰনেটৰ জৰিয়তে শুভেচ্ছা বিনিময় , মুছলমানসকলৰ কাৰণে বৈধ নহয়ঃ-
[তাওহীদী ভাৱাদৰ্শত জাগ্ৰত হৃদয়ৰ বাহিৰে এইবোৰৰ বৈধতাৰ অৰ্থ আৰু ভাৱ হৃদয়াঙ্গম কৰা সম্ভৱ নহয়।]
*          *          *          *          *          *          *          *          *          *          --মুছলিম উম্মাহৰ ঈদৰ সৈতে আকিদা-বিশ্বাস আৰু জীৱনাদৰ্শ সংমিশ্ৰিত, আৰু ই সকলো বিজাতীয় উৎসৱৰ পৰা সম্পূৰ্ণ ভিন্ন।
--কিয়নো এই উম্মত সৰ্বশেষ ঐশীবাৰ্তাবাহক জাতি। যাৰ নবী হৈছে- মুহাম্মদ চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম আৰু পৱিত্ৰ গ্ৰন্থ হৈছে- মহাগ্ৰন্থ আল কোৰআন।
--আল্লাহ তা'আলাই এই উম্মতক সৰ্বোচ্চ সৌন্দর্যৰে অভিষিক্ত কৰিছে, আল্লাহে ঘোষণা কৰিছে: তোমালোকে ভাল কামৰ নিৰ্দেশ দিয়া আৰু অন্যায় কামত বাধা প্ৰদান কৰা, আৰু আল্লাহৰ প্ৰতি ঈমান আনা। ) ছুৰা আলে ইমৰান: ১১০
--গতিকে কি কাৰণে পঁচিশ ডিচেম্বৰৰ পৰা সমগ্ৰ বিশ্ব জুৰি আৰম্ভ হোৱা খৃষ্টীয় উৎসৱ যিটো একত্ৰিশ ডিচেম্বৰত নৱবৰ্ষীয় মহোৎসৱৰ দ্বাৰা শেষ হয় আৰু মুছলমানসকলে, সজ্ঞানে অথবা অবচেতনভাৱে, আল্লাহে তেওঁলোকক যি সন্মান আৰু বৈশিষ্ট্য দিছে, তাত বিতুস্ত হৈ এই উৎসৱত অংশ গ্ৰহণ কৰি থাকে?
--আনাছ ৰাদিয়াল্লাহু আনহুৰ দ্বাৰা বৰ্ণিত, তেওঁ কৈছে, ৰাছুলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে যেতিয়া মদিনালৈ আগমন কৰিলে। তেতিয়া সিহঁতৰ ক্ৰীড়া-উল্লাসৰ দুটা দিৱস আছিল। ৰাছুলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে লে, 'এই দিৱস দুটা কি কি'? উত্তৰত সিহঁতে কলে, 'জাহেলী (অজ্ঞতা) যুগত আমি এই দিৱস দুটা ক্ৰীড়া-উল্লাসত কটাইছিলোঁ। ৰাছুলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কলে, ’আল্লাহ তা'আলাই ইয়াৰ পৰিবৰ্তে উত্তম দুটা দিৱস তোমালোকক দিছে- ঈদুল আজহা আৰু ঈদুল ফিতৰ'। [ আবু দাউদ, আহমদ] ৰাছুলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে আবু বকৰ ৰাদিয়াল্লাহু আনহুক কলে, 'হে আবু বকৰ! প্ৰত্যেক জাতিৰেই উৎসৱ আছে, আৰু এই দুটা আমাৰ উৎসৱ' [ বুখাৰী ]
--আমাক আল্লাহে হিদায়ত দিছে। আজিৰ দিৱস (শুক্ৰবাৰ) আমাৰ কাৰণে¸অহা কালিৰটো (শনিবাৰ) ইহুদীসকলৰ আৰু পৰহি (দেউবাৰ) হ'ল নাছাৰাসকলৰ‘ [ বুখাৰী আৰু মুছলিম ]
--শুদ্ধ অনুভূতিৰ অভাৱ, ইমানী দুৰ্বলতা ইত্যাদিৰ কাৰণে, বৰ্তমান যুগৰ কিছুমান মুছলমানে যীশুখৃষ্টৰ জন্মতিথি আৰু নৱবৰ্ষৰ উৎসৱ ইত্যাদিত অংশ গ্ৰহণ কৰি থাকে, নাছাৰাসকলৰ বেশভূষা, সিহঁতৰ ধৰ্মীয় চিহ্ন ইত্যাদি ব্যৱহাৰ কৰি থাকে, মুছলমানসকলৰ কাৰণে এইবোৰ বৈধ নহয়
--আব্দুল্লাহ ইবনে আমৰ ইবনে আচ ৰাদিয়াল্লাহু আনহুৰ দ্বাৰা বৰ্ণিত, তেওঁ কৈছে, ’যি ব্যক্তিয়ে মুশ্বৰিকসকলৰ দেশত ঘৰ সাঁজিলে, তেওঁলোকৰ উৎসৱ-দিৱস পালন কৰিলে আৰু সেই অৱস্থাত তেওঁৰ মৃত্যু হ', তেন্তে তেওঁৰ হাশ্বৰ-নশ্বৰ তেওঁলোকৰ সৈতেই হ'। [ ছুনানে বাইহাকি ৯/২৩৪ ]
--যি ব্যক্তিয়ে আলিমসকলৰ পোচাক গ্ৰহণ কৰে সি নিজকে আলিমসকলৰ সৈতে সম্পৃক্ত বুলি অনুভৱ কৰি থাকে আৰু যি ব্যক্তিয়ে সৈনিকৰ পোচাক পিন্ধে তাৰ হৃদয়ত সৈনিকসংলগ্ন ভাৱ জন্মে।
--হিকমতৰ মাজত আৰু এটা হ'ল- প্ৰকাশ্য বেশভূষাত সাদৃশ্য গ্ৰহণ। ইয়ে সমিলমিল আৰু সংমিশ্ৰণ-সন্মিলন ঘটোৱাৰ কাৰণ হয়¸ হিদায়াতপ্ৰাপ্ত মুমিন আৰু অভিশপ্তসকলৰ মাজত ভিন্নতা আৰু বৈশিষ্ট্যৰ প্ৰাচীৰ উঠি যায়।
--ইবনুল কাইয়্যিম ৰাহিমাহুল্লাহে আহকামু আহলিয্ যিম্মাহ ( যিম্মিসকলৰ বিধান) গ্ৰন্থত কৈছে, ’ বিজাতিসকলৰ নিজস্ব কুফুৰি নিদৰ্শনকেন্দ্ৰিক কোনো উপলক্ষ্যত শুভেচ্ছা বিনিময়, শুভেচ্ছাবাৰ্তা প্ৰদানকাৰী হাৰাম বুলি বিবেচিত হব।
[মূলঃ-Hifzur Rahman-Edited by-sgis-]
–অন্ত-

Saturday, 26 December 2015

ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ)পালন করা কেন বিদআত? : শায়খদের অভিমত : New Methodology in Islamic pattern

Title 57:::(((বিদআত →New Methodology in
Islamic pattern )))
Right Level :::ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ)পালন
করা কেন
বিদআত? আমরা মীলাদ অনুষ্ঠানকে
বিদআত বলি।
যদি প্রশ্ন করা হয়, কেন আপনারা বিদআত
বলেন? উত্তর হল, আল্লাহর কিতাব, রাসূল
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর
সুন্নাত, সাহাবাদের আমল এবং
সম্মানিত
তিন যুগের কোন যুগে এর কোন অস্তিত্ব
ছিলনা। তাই আমরা এটাকে বিদআত
বলি।
কারণ যে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর
সন্তুষ্টি কমনা করা হবে, কুরআন বা
সুন্নায়
অবশ্যই তার পক্ষে একটি দলীল থাকতে
হবে। আর মীলাদ মাহফিলের পক্ষে
এরকম
কোন দলীল নেই বলেই এটি একটি
বিদআতী ইবাদত, যা হিজরী চতুর্থ
শতাব্দীর পর তৈরি করা হয়েছে।
মিশরের ফাতেমীয় শিয়া সম্প্রদায়ের
শাসকগণ এটাকে সর্বপ্রথম ইসলামের
নামে
মুসলমানদের মাঝে চালু করে।
বিখ্যাত আলেমে দ্বীন ইমাম আবু হাফস্
তাজুদ্দীন ফাকেহানী (রঃ) বলেন,
একদল
লোক আমাদের কাছে বার বার প্রশ্ন
করেছে যে, কিছু সংখ্যক মানুষ মীলাদ
নামে রবিউল আওয়াল মাসে যে
অনুষ্ঠান
করে থাকে, শরীয়তে কি তার কোন
ভিত্তি আছে? প্রশ্নকারীগণ সুস্পষ্ট
উত্তর
চেয়েছিল।
আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে উত্তর
দিলাম যে, আল্লাহর কিতাব ও
রাসূলের
সুন্নাতে এর পক্ষে কোন দলীল পাই নি
এবং যে সমস্ত আলেমগণ মুসলিম জাতির
জন্য দ্বীনের ব্যাপারে আদর্শ স্বরূপ,
তাদের কারও পক্ষ থেকে এধরণেরে
আমলের প্রমাণ পাওয়া যায় নি। অথচ
তারা ছিলেন পূর্ববতী যুগের
(সাহাবীদের) সুন্নাতের ধারক ও বাহক।
বরং এই মীলাদ নামের ইবাদতটি একটি
জঘণ্য বিদআত, যা দুর্বল ঈমানদার ও পেট
পূজারী লোকদের আবিষ্কার মাত্র।
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া
(রঃ)
বলেন, এমনি আরও বিদআতের উদাহরণপ
হল,
কিছু সংখ্যক মানুষ রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্ম
দিবসকে
ঈদ হিসাবে গ্রহণ করত: এ উপলক্ষে
মীলাদ
মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। অথচ
রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) সঠিক জন্ম তারিখ সম্পর্কে
আলেমগণ যথেষ্ট মতবিরোধ করেছেন। এ
ধরণের অনুষ্ঠান পালনকারীদের দু’টি
অবস্থার একটি হতে পারে। হয়ত তারাজ
এব্যাপারে ঈসা (আঃ) এর জন্ম দিবস
পালনের ক্ষেত্রে নাসারাদের অনুসরণ
করে থাকে অথবা নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি অতি
ভালবাসা ও সম্মান দেখানোর জন্য
করে
থাকে।
যাই হোক এ কাজটি সাহাবাদের কেউ
করেন নি। যদি কাজটি ভাল হত,
তাহলে
অবশ্যই তারা কাজটি করার দিকে
আমাদের চেয়ে অনেক অগ্রগামী
থাকতেন। তাঁরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে আমাদের
চেয়ে অনেক বেশী ভালবাসতেন এবং
সম্মান করতেন। তাঁরা ছিলেন ভাল
কাজে আমাদের চেয়ে অনেক বেশী
আগ্রহী। তবে তাদের ভালবাসা ও
সম্মান
ছিল তাঁর অনুসরণ, আনুগত্য, তাঁর আদেশের
বাস্তবায়ন এবং প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে
তাঁর সুন্নাতকে বাস্তবায়িত করার
ভিতরে। by আবদুল্লাহ শাহেদ আল
মাদানি, লিসান্স ইন। মদিনা
বিশ্ববিদ্যালয়।।।
Media Level :::ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্যের
সাথে সারাদেশে পালিত।
আমজনতা লেবেল::: আমরা Seasonal,occasi
onal মুসলিম,তাই দরগাহ ধরে আছি★
Myself Level :::((( Verse :Anfaal Ayah 25)))আর তোমরা এমন ফাসাদ থেকে
বেঁচে থাক যা বিশেষতঃ শুধু তাদের
উপর পতিত হবে না যারা তোমাদের
মধ্যে জালেম এবং জেনে রেখ যে,
আল্লাহর আযাব অত্যন্ত কঠোর।
And fear the Fitnah (affliction and trial) which
affects not in particular (only) those of you who do
wrong (but it may afflict all the good and the bad
people), and know that Allâh is Severe in
punishment.
Rahat Zamman Rana কিছু সহিহ সুন্নাহর শায়খদের অভিমত তুলে ধরা হবে ইংশাআল্লাহ :: Dr. Bilal Philips. :::Do not celebrate the birthday of the Prophet (pbuh). The truth is that his actual date of birth is unknown just as the date of birth of Prophet Jesus (pbuh) is unknown. Furthermore, its celebration is an innovation in Islamic worship as it was not instructed by the Prophet (pbuh) nor was it done by his companions. ::
Rahat Zamman Rana
Rahat Zamman Rana বিশিষ্ট বিদ্বান Arabic আরব শায়খের ফতোওয়া :: আল-হামদুলিল্লাহ প্রথমত : মীলাদুন্নবী বিদআত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা তার কোন সাহাবি অথবা কোন তাবেঈ অথবা কোন ইমাম থেকে এর প্রচলন নেই, বরং এর প্রচলন শুরু করেছে আবিদী সম্প্রদায়, যেরূপ তারা অন্যান্য বিদআত ও গোমরাহী সৃষ্টি করেছে। দ্বিতীয়ত : ক্ষতিকর কোন উপাদান না থাকলে মিষ্টি খাওয়া ও কেনা বৈধ, যদি এতে নিষিদ্ধ কর্মের প্রতি উৎসাহ না থাকে অথবা নিষিদ্ধ কর্মের প্রচার ও স্থায়িত্বের কারণ না হয়। তবে আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, মীলাদুন্নবীর সময় মিষ্টি খরিদ করা মীলাদুন্নবী প্রচার করা এবং তার প্রতি এক ধরণের সমর্থন, বরং প্রকারান্তরে মীলাদুন্নবী উদযাপন করা হয়। কারণ, মানুষের অভ্যাসে যা পরিণত হয় তাই ঈদ, যদি তাদের অভ্যাস হয় এ দিনে এ ধরণের খাদ্য ভক্ষণ করা, অথবা মীলাদুন্নবী উপলক্ষে মিষ্টি তৈরি করা, বছরের অন্যান্য দিন যেরূপ হয় না, তাহলে এ দিনে এ মিষ্টি বিকিকিনি করা, খাওয়া অথবা হাদিয়া দেয়া এক ধরণের মীলাদ মাহফিল উদযাপন করার শামিল, তাই এ দিনে এসব পরিহার করাই উত্তম। এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি : ভালবাসা দিবসের সাথে সম্পৃক্ত যাবতীয় বস্তু এবং ভালবাসা দিবস উদযাপনের নিদর্শন লাল রঙের মিষ্টি ক্রয় ও হৃদপিণ্ডের ছবি সম্বলিত জিনিস আদান- প্রদান, ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার সম্পর্কে ‘লাজনায়ে দায়েমার’ ফতোয়ার প্রতি : “কুরআন-হাদিসের স্পষ্ট দলিল ও উম্মতের ঐক্য মত যে, ইসলামের ঈদ দু’টি : ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর। এ ছাড়া অন্যান্য ঈদ বেদআত, হোক না তা কোন ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত অথবা কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত অথবা কোন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অথবা অন্য কোন জিনিসের সাথে সম্পৃক্ত। কোন মুসলমানের পক্ষে এসব ঈদ পালন করা, সমর্থন করা, এতে আনন্দ প্রকাশ করা ও কোনভাবে এর সহযোগিতা প্রদান করা বৈধ নয়। কারণ এগুলো আল্লাহর সীমা রেখার লঙ্ঘন, আর যে আল্লাহর সীমালঙ্ঘন করল সে নিজের উপরই যুলম করল। অনুরূপ যে কোন জিনিসের মাধ্যমে এ ঈদ বা এ ধরণের অন্যান্য ঈদে সাহায্য করা হয় তাও হারাম, যেমন খাওয়া অথবা পান করা অথবা বিক্রি করা অথবা কেনা অথবা তৈরি করা অথবা হাদিয়া দেয়া অথবা প্রেরণ করা অথবা প্রচার করা ইত্যাদি। কারণ এসবের মধ্যে রয়েছে গুনা, অবাধ্যতা এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধাচরণে সহযোগিতা প্রদান করা। আল্লাহ তা'আলা বলেন : সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর”। সূরা মায়েদা : (২)” আল্লাহ ভাল জানেন। সমাপ্ত মুফতী : শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল- মুনাজ্জিদ অনুবাদক : সানাউল্লাহ নজির আহমদ সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব.
একজন বয়স্ক মুরুব্বী
একজন বয়স্ক মুরুব্বী জাজাকাল্লাহ খাইরান,ভাই★ অনেক অনেক তথ্যসমৃদ্ধ সংগৃহীত উপকারী তথ্য।May Allah bless you.
Rahat Zamman Rana
Rahat Zamman Rana ওয়া আনতুম ফা জাযাকুমুল্লাহু খইরন। আল্লাহ আপনাকেও দুনিয়া ও আখিরাতেও মংগল করুন, আমীন।

Wednesday, 23 December 2015

দাড়ি কি রাখতেই হবে ?









দাড়ি কি রাখতেই হবে ?




বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।




একুশের প্রথম প্রহর। শহীদ মিনার প্রাঙ্গন। ঢাকা ইউনিভার্সিটির বিএনসিসির ক্যাডেট হিসেবে দায়িত্ব পড়েছে শহীদ মিনারের রাতের প্রথম প্রহরের শৃঙ্খলা রক্ষার। কাজটা খুব সহজ না, কারণ যারা ঐ সময়ে ফুল দিতে আসে তাদের মূল লক্ষ্য ক্যামেরা। আমার পরণে ন্যাভাল ক্যাডেটের ইস্ত্রী করা পরিপাটি সাদা পোশাক আর সাদা ক্যাপ। গম্ভীর মুখ ও স্বরে যখন বলছিলাম “এখানে না রাস্তায় গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করুন” তখন খুব উচ্ছৃঙ্খল লোকগুলোকেও দেখছিলাম কিছুটা মিইয়ে গিয়ে আস্তে আস্তে কেটে পড়তে। বাতাসে ভেসে আসা টুকরো মন্তব্যগুলো শুনতে ভালো না লাগলেও পরণের উর্দির দাপটটা বুঝিয়ে দিয়েছিল বেশ!




উর্দি মনে অহংকার জন্ম দিলেও, এর আসল উদ্দেশ্য কিন্তু তা ছিলনা। এর উদ্দেশ্য একই সাথে – আলাদা করা এবং এক করা। যেমন জলপাই রঙের ডোরাকাটা পোষাক দেখলে বোঝা যায় এই মানুষটি আমার এবং আমার মত যধু-মধু থেকে আলাদা, আনসার-ভিডিপি-পুলিশ এমনকি বিমান আর নৌ বাহিনী থেকেও আলাদা। আবার আপন পরিসরে এই পোশাকটা নিজের বাহিনীর সবার সাথে তার একটা একাত্মতাবোধ সৃষ্টি করে, তাকে তার দায়িত্ব, কর্তব্য আর মর্যাদার কথা সবসময় মনে করিয়ে দিতে থাকে। কোন বাহিনীর সদস্য সেই বাহিনীর পোশাক পড়বেনা এমনটা একেবারেই অসম্ভব। এমন অকল্পনীয় অসম্ভবটা খালি একটি ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়ে যায় – মুসলিমদের ক্ষেত্রে।




মুসলিম মানে আসলে কি? আল্লাহ্‌কে একমাত্র সত্য ‘ইলাহ্‌’ হিসেবে স্বীকার করে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সমর্পণ যে করে সেই মুসলিম। ইসলামকে একটা জীবন-ব্যবস্থা হিসেবে বিবেক-বুদ্ধি খাটিয়ে বেছে নিতে হয়। বেছে নেবার পর ইসলামের বিধিবিধানগুলো জানতে হয় ও দ্বিধাহীনভাবে মেনে নিতে হয়। এসব নিয়ম-কানুন আমাদের জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে। আমি কোন কাতে ঘুমাবো, কোন হাতে খাবো, কোন পা দিয়ে টয়লেটে ঢুকবো – এসব আপাত অতি তুচ্ছ ব্যাপারে যেমন ইসলামের দিক নির্দেশনা আছে; তেমন আমি কোন চাকরি করবো, কিভাবে ব্যবসা করবো, কিভাবে শাসন করবো, কোন আইনে বিচার করবো সেসব সামাজিক ব্যাপারেও আছে। এমনকি আমি কাকে বিয়ে করবো, নিকটজনের কাকে কতটা সম্পত্তি দেব – এসব অতি ব্যক্তিগত ব্যাপারেও ইসলামের কিছু না কিছু বলার আছে। মোটকথা একটা মানুষ ঘুম থেকে জেগে আবার ঘুমুতে যাওয়া অবধি যা কিছু করে সব কিছুর জন্যেই ইসলাম কিছু মূলনীতি দিয়েছে।




স্বাধীনচেতা কারো কাছে মনে হতে পারে – ইসলাম মানুষকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে, ব্যাপারটা আসলে তা নয়। মানুষের জীবনের প্রতি পদে যেটা মানুষের জন্য মঙ্গল সেটাই তাকে করতে আল্লাহ্‌ আদেশ দিয়েছেন। শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন মানেই শৃংখল নয়, তা ব্যক্তিস্বাধীনতাকে পরিমিতি দেয়ার একটা উপায়। এটা ব্যক্তির জন্য মঙ্গলকর তো বটেই, সমাজের অন্য মানুষদের জন্য কল্যাণকর। এক অপ্সরী রমণী সেজেগুজে সবার চোখ ধাঁধিয়ে নারীস্বাধীনতা চর্চা করলো। সে রূপের ছটা যাদের চোখে গেঁথে গেল তারা এখন বিয়ের কনে দেখবার কালে কালো তো কালো, শ্যামলা বরণ দেখেই মুখ ঘুরিয়ে নেয়। “মনের সৌন্দর্য -আসল সৌন্দর্য”, এসব তত্ত্ব কথা হিসেবে চর্চিত হতে থাকলো, আসল জীবনে বাজলো রঙ-ফর্সা ক্রিমের জয়গান।




একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব বোঝা যায় তার পোষাক-আশাকে। মুসলিম পুরুষদের অন্য ধর্মাবলম্বীদের থেকে আলাদা করতে, তাদের মধ্যে একতাবদ্ধতা তৈরী করতে আল্লাহ তাদের একটা ইউনিফর্ম দিলেন। সেটা হল – ঢিলেঢালা, অস্বচ্ছ, পুরুষালী পোশাক যা পায়ের গোড়ালির উপর থাকবে। মুখে প্রাকৃতিক দাড়ি থাকবে, গোঁফটাকে কেটে ছোট রাখতে হবে। এমন একটা বেশভূষা যেটা যে কোন ভৌগলিক অঞ্চলের মানুষরা পড়তে পারবে। বাংলাদেশের মুসলিম বোতসোয়ানা, স্পেন কী কানাডায় গিয়ে এমন পোশাক পরা মানুষকে দেখেই একগাল হাসি হেসে বলতে পারবে – আস-সালামু আলাইকুম। ভাষা আর জাত-পাতের ভেদাভেদ ভেঙে ভ্রাতৃত্বের কি এক অপূর্ব বন্ধন!




ইসলামি ইউনিফর্মের যে অংশটাকে সাধারণ মুসলিমরা তো বটেই, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা পর্যন্ত থোড়াই কেয়ার করছে সেটা হল – দাড়ি। শায়খ মুহাম্মদ আল জিবালি দেখিয়েছেন দাড়ি কেটে একজন মানুষ কত ভাবে ইসলাম লঙ্ঘন করে –




১. আল্লাহ সুবহানাহু এর অবাধ্যতাঃ


আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, পারস্যের সম্রাট কিসরা ইয়েমেনের শাসকের মাধ্যমে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে দু’জন দূত পাঠান। এদের দাড়ি ছিল কামানো আর গোঁফ ছিল বড় বড়। রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে তাদের এই অবয়ব এতই কুৎসিত লেগেছিল যে তিনি মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের ধ্বংস হোক, এমনটি তোমাদের কে করতে বলেছে? তারা উত্তর দিল, আমাদের প্রভু কিসরা। তিনি (সাঃ) তখন উত্তর দেন, আমার রব্ব, যিনি পবিত্র ও সম্মানিত আদেশ করেছেন যেন আমি দাড়ি ছেড়ে দেই এবং গোঁফ ছোট রাখি।১


আল্লাহর অবাধ্যতাতে মগ্ন হবার সময় আমাদের মনে রাখা উচিত, আল্লাহর একটি মাত্র আদেশের অবাধ্যতা করে শয়তান জান্নাত থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।




২. রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অবাধ্যতাঃ


ইবন উমার (রাঃ) বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের আদেশ করেছেন, “গোঁফ ছোট করে কেটে রাখ, আর দাড়িকে ছেড়ে দাও”২


উল্লেখ্য যে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদেশ যে মানছে সে মূলত আল্লাহর আদেশই মানছে।৩ আর যে রসুলের (সাঃ) এর আদেশ মানলোনা সে আল্লাহর আদেশেরই অবাধ্য হল।৪


যারা ভাবছেন আল্লাহ ও তার রসুলের(সাঃ) এর কিছু আদেশ না মানলেও চলে, তাদের জন্য আল্লাহ কঠোর সতর্কতাবাণী দিয়েছেন –


“… আর যে আল্লাহ ও তার রসুলকে অমান্য করে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাতে তারা চিরস্থায়ী হবে।”৫




৩. রসুলদের (সাঃ) এর সুন্নাত থেকে বিচ্যুতিঃ


আল্লাহর প্রেরিত সব রসুলদের বর্ণনায় দাড়ির কথা পাওয়া যায়। সুরা ত্বহা-তে হারুন (আঃ) এর দাড়ির বর্ণনা এসেছে। আল্লাহ আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রতিটি মুসলিমের জন্য উস্‌ওয়াতুন হাসানা – সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ, কর্মে বা গড়নে।৬ জাবির বিন সামুরাহ(রাঃ) বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দাড়ি ছিল অনেক বড়। এখন একজন ক্লিনশেভড মুসলিম আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখুক কাফির সম্রাট সারকোজির সাথে তার চেহারা বেশী মেলে না রসুল(সাঃ) এর সাথে। একজন দাড়ি সাইজ করে রাখা মুসলিম আয়নায় দাঁড়িয়ে ভাবুক রসুল(সাঃ) এর ছেড়ে দেয়া দাড়ির চেয়ে সে কেন বেছে নিল রসুল(সাঃ) কে অপমানকারী লেখক সালমান রুশদির সাহিত্যিক দাড়িকে।




৪. সাহাবাদের সুন্নাত থেকে বিচ্যুতিঃ


রসুলুল্লাহ(সাঃ) এর সাহাবাদের দৈহিক বর্ণনার মধ্যে দাড়ির দৈর্ঘ্যের কথাও এসেছে। আবু বকর(রাঃ) এর দাড়ি ঘন ছিল, উমার ও উসমান (রাঃ) এর দাড়ি ছিল দীর্ঘ। আলি(রাঃ) এর দাড়ির দৈর্ঘ্য ছিল দু’কাঁধের দুরত্বের সমান।৭


খুলাফায়ে রাশেদিনের সুন্নাতকে রসুল(সাঃ) দাঁত দিয়ে হলেও আকড়ে থাকতে বলেছিলেন। দাড়ি ছোট করতে করতে পাতলা ঘাসের স্তর বানিয়ে কার সুন্নাতের দিকে যাচ্ছি আমরা?




৫. কাফিরদের অনুকরণঃ


আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রসুল (সাঃ) আদেশ করেন – “গোঁফ ছোট কর ও দাড়ি বড় কর, মাজুসিদের(পারস্যের অগ্নি উপাসক) চেয়ে অন্য রকম হও।”


আবু উমামাহ (রাঃ) বলেন, রসুল (সাঃ) আদেশ করেছেন – “গোঁফ ছোট কর ও দাড়ি বড় কর, কিতাবধারীদের (ইহুদি-খ্রীষ্টান) বিরোধীতা কর।”


ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রসুল (সাঃ) বলেছেন – “মুশরিকদের চেয়ে আলাদা হও – গোঁফ ছোট কর ও দাড়ি বড় কর”৮




রসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের বার বার সাবধান করে বলেছেন – যে যাকে অনুকরণ করবে সে তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে।৯ আমরা কাতর আহবান জানাই প্রতি ওয়াক্ত সলাতে, সুরা ফাতিহাতে – গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালা দওঅল্লিন। কাদের থেকে আলাদা হতে চাই? তাদের থেকে যারা সত্য জানার প্রতি বিমুখ ছিল, তাদের থেকে যারা সত্য জেনেও মানেনি। তবে কি আমরা রসুল(সাঃ) এবং তার সাহাবাদের (রাঃ) পরিবর্তে অনুসরণ করছি মুশরিক-ইহুদি-খ্রীষ্টান-অগ্নিউপাসকদের, যাদের অন্তিম পরিণাম জাহান্নামের আগুন?




৬. আল্লাহর সৃষ্টিতে তার অনুমতি ব্যতিরেকেই পরিবর্তনঃ


আল্লাহর কাছে অন্যতম ঘৃণিত ব্যাপার হলো তার সৃষ্টিতে পরিবর্তন আনা, যার অনুমোদন তিনি দেননি। একজন পুরুষ বয়োপ্রাপ্ত হলে তার বহিপ্রকাশ হবে তার চেহারায় – এটাই আল্লাহর সৃষ্টি। যে দাড়ি কাটছে সে আল্লাহর সৃষ্টি বদলে দিচ্ছে, মেনে নিচ্ছে শয়তানের আদেশ। আল্লাহ পাক আমাদের সুরা নিসায় সাবধানবাণী জানিয়েছেন এভাবে –




আল্লাহ তাকে (শয়তানকে) অভিশম্পাত করেছেন। আর সে বলেছিল: আমি অবশ্যই তোমার বান্দাহদের এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী করে নিবো … তাদেরকে নিশ্চয়ই নির্দেশ দেবো আর তারাই আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে। আর আল্লাহর পরিবর্তে কেউ শয়তানকে অভিভাবক বানিয়ে নিলে সে নিঃসন্দেহে প্রকাশ্য ক্ষতিতে আক্রান্ত হয়।




আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেছেন, আল্লাহ তা’লা অভিশম্পাত করেছেন ঐসব নারীর ওপর, যারা শরীরে উল্কি আঁকে ও আঁকায়; যারা ভ্রু তুলে কপাল প্রশস্ত করে এবং সৌন্দর্যের জন্য দাঁত সরু ও দু’দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। এসব নারী (এভাবে) আল্লাহর সৃষ্টির আকৃতিকে বিকৃত করে।১০




এখন সৌন্দর্য বাড়াতে যদি কোন মেয়ে কপালের লোম তুলে আল্লাহর অভিশাপের যোগ্য হয় তবে একজন পুরুষ – যার বৈশিষ্ট্যই মুখে দাড়ি থাকা – তার অবস্থা কি হবে?




৭. নারীদের অনুকরণঃ


ইবনু আব্বাস বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃ) সেসব পুরুষদের অভিশম্পাত করেছেন যারা নারীদের অনুকরণ করে, আর সেসব নারীদের অভিশাপ দিয়েছেন যারা পুরুষের অনুকরণ করে।১১


যে মুসলিম পুরুষ আল্লাহর দেয়া দাড়ি নিয়ে অস্বস্তিতে থাকে, সেটাকে কেটে সাফ করে মেয়েদের মত মুখায়বকে স্মার্টনেস ভাবে তারা আসলে নিজের পুরুষত্ব নিয়েই অতৃপ্ত থাকে। মেয়েদের আল্লাহ একভাবে বানিয়েছেন, পুরুষদের আরেকভাবে। এখন রাত যদি দিনের মত হয়ে যায়, আর দিন, রাতের মত তাহলে কি অবস্থা দাঁড়াবে? নারী-পুরুষের পরষ্পরের অনুকরণের কুফল আমরা দেখতে পাচ্ছি সমকামিতার প্লেগ আর বিবাহ-বিচ্ছেদের বন্যায়। আল্লাহর অভিশাপ মাথায় নিয়ে পরকালে কেন, ইহকালেও ভাল থাকা যায়না, যাবেনা।




৮. বিশুদ্ধ ফিতরাতের বিরোধীতাঃ


প্রতিটি শিশুই বিশুদ্ধ প্রকৃতির উপর জন্মায় যাকে বলে ফিতরাত। পরে পরিবেশের প্রভাবে, শয়তানের ধোঁকায় কিংবা আত্মপ্রবঞ্চণায় সে তা থেকে সরে যায়। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন –


দশটি আচরণ ফিতরাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত – গোঁফ কাটা, দাড়ি ছেড়ে দেয়া, দাঁত মাজা, নাক ও মুখের ভিতর পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, নখ কাটা, আঙুলের মাঝে ধোয়া, বগলের লোম পরিষ্কার করা, লজ্জাস্থানের চুল পরিষ্কার করা, লজ্জাস্থান পানি দিয়ে ধোয়া ও মুসলমানি করা।১২




এই ফিতরাতের আচরণগুলো সকল যুগের সকল মুসলিমের জন্য প্রযোজ্য।




৯. ইসলামকে উপহাসঃ


দাড়ি না রাখতে রাখতে সমাজের অবস্থা এমন হয়েছে যে যদি কোন মুসলিম দাড়ি রাখে তাহলে তাকে জেএমবি বলে কটাক্ষ করা হয়। অথচ জংলী বাউল গোঁফ-দাড়ির জঙ্গল বানিয়ে ফেললে তা রক্ষা করতে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। চারুকলার দাড়ি স্পর্ধিত বিপ্লবী গুয়েভারার আর মুসলিম যুবকের দাড়ি লজ্জার, পশ্চাৎপদতার!




মুসলিম দাড়ি দেখে অমুসলিমদের গাত্রদাহ হবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু একজন মুসলিম যদি শ্মশ্রুমন্ডিত কোন মানুষকে উপহাস করে বলে, “মনের দাড়িই আসল দাড়ি” বা “আমার দাড়ি নেই তো কি হয়েছে আমার ঈমান পাকা” – তাহলে তার জেনে রাখা উচিত ইসলামের কোন বিষয় নিয়ে উপহাস করার ফলাফল ইসলামের গন্ডী থেকে বেরিয়ে যাওয়া। আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা বলেন –




…বল, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ এবং তাঁর রাসূলকে উপহাস করছিলে? কোন অজুহাত পেশ করো না! তোমরা ঈমান আনয়নের পর কুফরী করেছ১৩ …




পরিশেষে, আমাদের মধ্যে একটা বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা হল যে দাড়ি রাখা সুন্নাত, সুতরাং এটা রাখলেও চলে না রাখলেও চলে। রসুলের যেসব সুন্নাত সব মানুষের অনুকরণের জন্য তাকে বলে সুন্নাতে ইবাদাত। রসুল (সাঃ) যা মানুষ হিসেবে করেছেন এবং সাধারণের স্বাধীনতা উন্মুক্ত রেখেছেন সেটাকে বলে সুন্নাতে আদাত। যেমন রসুল (সাঃ) কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুলও রাখতেন আবার ছোট করে কেটেও রাখতেন। এটা সুন্নাতে আদাত। কিন্তু তিনি দাঁড়ি কখনো কাটেননি, কাটার অনুমতি দেননি, বরং তা ছেড়ে দিতে বলেছেন। তাই দাড়ি রাখা সুন্নাতে ইবাদাত হিসেবে ওয়াজিব, যা লঙ্ঘনের মাধ্যমে একজন মানুষ আল্লাহ ও তার রসুলের(সাঃ) অভিশাপের সামনে নিজেকে উন্মুক্ত করে দেয়। ইমাম আবু হানিফা, মালিক, শাফী, আহমদ বিন হাম্বল, ইবনে তাইমিয়া, ইবন হাজাম, বিন বায, নাসিরুদ্দিন আলবানি সহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের সকল আলিম দাড়ি কাটাকে হারাম বলেছেন।১৪




আমাদের উচিত নিজেদের প্রশ্ন করা কোন রব্‌কে খুশি করার জন্য দাড়ি কাটছি – স্ত্রী? বান্ধবী? অফিসের বস? সমাজের মানুষ? আত্মপ্রবৃত্তি? যিনি আল্লাহকে সত্যিই রব্‌ হিসেবে মেনে নিয়েছেন তার মনে রাখা উচিত মুমিনদের কথা হল – “সামিঈনা ওয়া আতাইনা”- আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। দাড়িকে আমরা যতটা তুচ্ছ ভাবছি, আল্লাহর অভিশাপ কিন্তু ঠিক ততটা তুচ্ছ নয়।




আল্লাহ আমাদের সত্যই ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার তৌফিক দিন। আমিন।




—————————————————————-


১ ইবনে জারির আত তাবারি, ইবন সা’দ ও ইবন বিশরান কর্তৃক নথিকৃত। আল আলবানি এক হাসান বলেছেন। দেখুন আল গাযালির ফিক্বহুস সিরাহ ৩৫৯ পৃষ্ঠা।


২ সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম ও অন্যান্য।


৩ সুরা নিসা, আয়াত ৮০


৪ সহিহ বুখারি ২৯৫৭,৭১৩৭। সহিহ মুসলিম ১৮৩৫


৫ সুরা আল জ্বিন, আয়াত ২৩


৬ সুরা আল আহযাব, আয়াত ২১


৭ কুত-উল-কুলুব, আল ইসাবাহ, আত তাবারাত।


৮ সহিহ মুসলিম


৯ আবু দাউদ


১০ সহীহ বুখারী ৪৫১৮


১১ সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম ও অন্যান্য


১২ সহিহ মুসলিম, আবু দাউদ, আহমাদ, ইবনু আবি শায়বা থেকে সমন্বয়কৃত


১৩ সূরা আত তাওবাহ, আয়াত ৬৫-৬৬


১৪ আল লিহইয়াতুল বাইনাস সালাফ ওয়াল খালাফ – মুহাম্মদ আল জিবালি