Wednesday 24 June 2015

খাঁটি ইসলামের সুমিষ্ট ফল পেতে চান? : একটি গবেষণামূলক পরিবেশনা


খাঁটি ইসলামের সুমিষ্ট ফল পেতে চান?
************************************
আপনি কি খাঁটি ইসলামের সুমিষ্ট ফল পেতে চান?তাহলে সর্বপ্রথম আপনার হৃদয় যমিন থেকে শির্ক,বিদআত,কুফর ইত্যাদি নামক যাবতীয় বদ্বীনির আগাছা শিকড়সহ উপড়িয়ে ফেলুন৷এরপর খাঁটি তাওহীদের মজবুত লাঙ্গল দিয়ে দিয়ে আপনার হৃদয় যমিনকে ভালোভাবে চাষ দিন৷এরপর সহীহ সুন্নাহর নির্ভেজাল বীজ বপন করুন৷তারপর?তারপর ক্বুরআন ও সহীহ হাদিসের ইলম দ্বারা নিয়মিত পরিচর্যা করুন৷আর হ্যাঁ,সবশেষে আপনার হৃদয় যমিনকে তাক্বওয়া এবং ইখলাসের বেড়া দিয়ে মজবুতভাবে ঘিরে দিন৷এখন আপনার হৃদয় যমিনে খাঁটি ইসলামের সুমিষ্ট ফল ফলবে,ইংশাআল্লাহ৷
(একটি গবেষণামূলক পরিবেশনা)

Monday 22 June 2015

ইসলামে কোন বিষয়ে না জেনে কথা বলা : প্রশ্নকারী/উত্তর কেবল কোরআন ও সহীহ হাদীস থেকেই ফায়ছালা চাইবেন

ইসলামে কোন বিষয়ে না জেনে কথা বলাঃ 
দ্বীনি কোন বিষয়ে জানা না থাকলে সরাসরি বলা উচিত এ বিষয়টি আমার জানা নেই। অকারণে উল্টা পাল্টা বলে নিজেকে সবজান্তা প্রমাণ করে নিজের জন্য জাহান্নাম নির্ধারণ করে নেওয়ার কোন অর্থ নেই। যেটা জানা নেই তা পড়ে জেনে অথবা গবেষনা করে জানতে হবে। কারণ এমন কোন বিষয় নেই যা কোরআন এবং হাদীসে নেই।
আবূ যার (রাঃ) বলেন, আকাশে যে পাখি তার দু’ ডানা ঝাপটায় তার জ্ঞান সম্পর্কেও নবী করীম (ছাঃ) আমাদের নিকট আলোচনা করেছেন।(মুসনাদে আহমদ হা/২১৬৮৯,২১৭৭০, ২১৭৭১, ২১৩৯৯; ৫/১৬৩ পৃষ্ঠা; সহীহা ১৮০৩)।
তবে জানা ও না জানার বিষয়টি একটি আপেক্ষিক ব্যাপার মাত্র। দু’জন বিজ্ঞ আলেমকেও দেখা যাবে যে, একই সময়ে একটি বিষয় একজনের জানা আছে, অপরজনের জানা নেই। সাহাবায়ে কেরামরে মধ্যেও এরূপ ছিল। এমনকি উম্মতের শ্রেষ্ঠ্য ব্যক্তিত্ব মহামতি চার খলীফা হযরত আবূ বকর, ওমর, উসমান এবং আলী (রাঃ) অনেক হাদীস না জানার কারণে অন্যান্য সাহাবীর নিকট থেকে জেনে নিয়ে ফায়ছালা দিতেন। হাদীসের পৃষ্ঠাসমূহে যার ভুরি ভুরি প্রমাণ মওজুদ রয়েছে।(দ্রঃ ইমাম ছালেহ ফুল্লানী (১১৬৬-১২১৮ হিঃ) প্রণীত ‘ঈকাযু হিমাম’ (বৈরুত: দারুল মারিফাহ ১৩৯৮/১৯৭৮ খ্রঃ) পৃঃ ৬-৯, ৮৭-৮৮; ইবনুল কাইয়্যম, ইলামুল মুয়াকক্বিন’ঈন ২য় খন্ড পৃঃ ২৭০-৭২)।
এ যুগেও যদি আমাদের কোন বিষয়ে না জানা থাকে, তাহলে আমরাও কোন আলেমের নিকট থেকে পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদীসের ফায়ছালা জেনে নিব। কেবল একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে যে, প্রশ্নকারী কেবল কোরআন ও সহীহ হাদীস থেকেই ফায়ছালা চাইবেন। কোন মাযহাবের বা কোন ব্যক্তির সিদ্ধান্ত নয়। এমনি ভাবেই যিনি ফাৎওয়া দিবেন, তিনিও কোরআন ও সহীহ হাদীস থেকেই ফাৎওয়া দিবেন। না জানা থাকলে বলবেন, আমি জানি না। নিজের রায় অনুযায়ী ফাৎওয়া দিলে সেটাও প্রশ্নকারীকে বলে দিবেন। মোট কথা আলেমের কর্তব্য এটাই হবে যে, প্রশ্নকারীকে কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী ফাৎওয়া দিয়ে তাকে জান্নাতের পথে বাৎলে দেওয়া। এ ব্যাপারে যদি তাকে জান-মাল ইয্যত ও পদ মর্যাদার ঝুকি নিতে হয়, তাও নিতে হবে। তথাপি সমাজের ভয়ে বা লৌকিকতার কারণে কোরআন ও সহীহ হাদীসের সিদ্ধান্ত সমাজকে জানিয়ে দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে আসা চলবে না। 
মুহাদ্দিস যায়েদ বিন আসলাম বলেন, হাদীস মিথ্যা প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও যে তার উপর আমল করে, সে শয়তানের খাদেম। (তাযকীরাতুল মাওযু‘য়াত পৃষ্ঠা-৭)

Saturday 20 June 2015

Masjid-ul-Aqsa witnessed 2,20,000 Muslims on first Friday


Masjid-ul-Aqsa witnessed 2,20,000 Muslims on first Friday

Saturday, 20 June 2015

আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই, যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে

শয়তান ও পাপকাজে তার সহযোগীদের থেকে সাবধান-14:22


হাশরের মাঠে মানুষের মাঝে যখন ফয়সালা শেষ হওয়ার পর মুমিনগণ জান্নাতে চলে যাবেন এবং কাফেরেরা জাহান্নামে নিপতিত হবে। শয়তানের অনুসারী জাহান্নামীরা যখন শয়তানকে এই বলে দোষারোপ করবে যে, আমরা তোমার কথায় সাড়া দিয়েছিলাম। দুনিয়াতে তুমি আমাদেরকে গোমরাহ করেছিলে, ইত্যাদি বলে শয়তানকে দোষারোপ করবে। শয়তান তখন নিজেকে সম্পূর্ণ দোষমুক্ত ঘোষণা করে একটি ভাষণ প্রদান করবে। আল্লাহ তাআ’লা কুরআনে শয়তানের সেই ভাষণটি তুলে ধরেছেন।
আল্লাহ বলেনঃ
“কিয়ামত দিবসে যখন ফয়সালা হয়ে যাবে তখন শয়তান বলবেঃ নিশ্চয় আল্লাহ্তোমাদেরকে সত্য ওয়াদা দিয়েছিলেন। আমিও ওয়াদা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার ওয়াদা ছিল মিথ্যা এবং আমি সেই ওয়াদা ভঙ্গ করেছি। তোমাদের উপর আমার কোন কর্তৃত্ব ছিলনা। শুধুমাত্র আমি তোমাদেরকে ডেকেছিলাম। আর তোমরা আমার ডাকে সাড়া দিয়েছিলে। অতএব আজ তোমরা আমাকে দোষারোপ করোনা। নিজেদেরকে দোষারোপ কর। আমি তোমাদেরকে শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারবনা। তোমরাও আমাকে বাঁচাতে পারবেনা। তোমরা ইতিপূর্বে আমাকে আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করেছিলে। আমি তা অস্বীকার করছি। নিশ্চয়ই জালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক কঠিন শাস্তি।”
(সূরাহ ইবরাহীমঃ ২২)[http://quran.com/14/22] [http://www.islamawakened.com/quran/14/22/]
সুতরাং শয়তান ও পাপকাজে তার সহযোগীদের থেকে সাবধান সাবধান সাবধান।
লিখেছেনঃ আব্দুল্লাহ শাহেদ