Monday 10 October 2016

মাওলানা শব্দের ব্যবহার সম্পূর্ণ বৈধ

: রিয়াহ বিন হারিস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদল লোক আলী (রাঃ) এর মসলিসে এসে বললেন, 'السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مَوْلَانَا' 'আসসালাম ওয়ালাইকুম ইয়া মাওলানা'। [মুসনাদ আহমাদ ৩৮/৫৪১, ২৩৫৬৩, শুআইব আরনাউত্ব হাদীছের সনদকে ছহীহ বলেছেন; মাজমু কাবীর তাবারানী ৪/১৭৩, ৪০৫৩; ইমাম হায়শামী 'মাজমু যাওয়ায়েদ' (৯/১০৬) তে বলেছেন 'ইহার বর্ণনাকারীগন ছিক্বাহ'; ইমাম শাওকানী 'দারুল শাহবাত' (১৪২) এ বলেছেন 'ইহার বর্ণনাকারীগন ছিক্বাহ'; আলবানী (রহঃ) বলেন 'ইহার সনদ উত্তম, বর্ণনাকারীগন ছিক্বাহ' (ছহীহাহ ৪/৩৪০)]

'মাওলানা' শব্দ ব্যবহার শির্কের পর্যায়ে পড়ে না।
-----------------------------

: 👆comment👇

: এই জামানার অনেক আহলে হাদিসের বক্তব্য এটা.....ভাল করে গবেষণা না করেই ব্যঙের মত লাফায়
[10/10, 1:16 PM] sogoodislam: 👆Remarks👇
[10/10, 1:16 PM] sogoodislam: ••• মাওলানা " শব্দের ব্যবহার সম্পূর্ণ বৈধ ••
*** জামাতে ইসলামীর জনৈক আলেম সাহেবের একটি ভিডিওতে দেখলাম যে, তিনি বলেছেন " আলেম- উলামাদের নামের সংগে " মাওলানা " ব্যবহার করা শির্ক । আসলে প্রকৃত ইলম না থাকলে এবং পবিত্র কুরআনের হাফেজ ও গবেষক না হলে যা হবার তাই হয়েছে । আমি অনুরোধ করবো যে, তিনি যেনো তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়ে নেন । মনে রাখতে হবে যে, পরকালের আযাব দুনিয়ার আযাবের চেয়ে অনেক বেশী ভয়াবহ । এ রকম একটি মারাত্মক ভুল ফতওয়া তাঁর পরকাল ধ্বংস করে দিতে পারে ।
*** এবার আসুন আলোচনা করি ।
*** মহান আল্লাহপাক তাঁর গুণাবলীর অনেকগুলো শব্দ পবিত্র কুরআনে মানুষের জন্য ব্যবহার করেছেন । যে সব শব্দ তিনি মানুষের জন্য ব্যবহার করেছেন , তা' ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন বাঁধা থাকতেই পারেনা ।
*** আল্লাহপাক বলেন
ان تتوبا الي الله فقد صغت قلوبكما و ان تظاهرا عليه فان الله هو مولاه و جِبْرِيل و صالح المؤمنين والملائكة بعد ذالك ظهير
" তোমাদের উভয়ের হ্রদয়ে অন্যায় অনূভুত হওয়ার কারণে ক্ষমা চেয়ে নিলে উত্তম । আর যদি তা' না করো , তা'হলে মনে রেখো মহান আল্লাহপাক , জিব্রাইল আ: , সৎপরায়ণ মু'মিনগণ এবং ফেরেশ্তারা তাঁর ( রসুলের সা:) মাওলা (مولي) অর্থাৎ সাহায্যকারী ।"
সূরা আত তাহরীম ৪
*** আল্লাহপাক বলেন
يوم لا يغني مولي عن مولي شيئا و لا هم ينصرون
" কেয়ামতের দিন কোন মাওলা বা বন্দ্বু কোন বন্দ্বুর বিন্দুমাত্র কাজে আসবেনা এবং তাঁরা সাহায্যও পাবেনা ।"
সূরা আদ দুখান ৪১
*** মাওলা শব্দের অর্থ অভিভাবক / সহায় / সাহায্যকারী / বন্দ্বু ইত্যাদি । মওলভী হচ্ছে Singular , অর্থ আমার বন্দ্বু । মাওলানা অর্থ হলো আমাদের বন্দ্বু , ইহা plural শব্দ ।
** University of Sharjah তে আমার অনেক এ্যারাবিয়ান বন্দ্বুরা আমাকে স্বয়ং কথা- বার্তার ফাঁকে প্রায় সময়ে বলে থাকেন يا مولانا অর্থাৎ ওহে আমাদের দোস্ত ।"
*** এ শব্দটি ছাড়াও আরো অনেক শব্দ আল্লাহপাক মানুষের জন্য পবিত্র কুরআনে ব্যবহার করেছেন । যেমন তিনি মহানবী সা:কে বলেছেন
لقد جاءكم رسول من انفسكم عزيز عليه ما عَنِتُّم حريص عليكم بالمؤمنين رؤوف رحيم
সূরা আত তাওবা , শেষ আয়াত । এখানে عزيز رؤوف رحيم তিনটি গুণবাচক শব্দ যা আল্লাহপাক নিজের জন্য ব্যবহার করে থাকেন , তা' রসুলের সা: জন্যেও ব্যবহার করেছেন ।
*** আল্লাহপাক বলেন
رب ارحمهما كما ربياني صغيرا
সূরা আল ইসরা ২৪
এখানে رب অর্থাৎ প্রতিপালন করা আল্লাহপাক এবং মানুষের জন্য একইসঙ্গে ব্যবহার দেখানো হয়েছে ।
*** আল্লাহপাক বলেন
وان تَعْفُوا و تصفحوا و تغفروا فان الله غفور رحيم
সূরা আত তাগাবুন ১৫
এখানেও আল্লাহপাক স্বয়ং নিজের জন্য এবং মানুষের জন্য عفو غفور ব্যবহার করেছেন ।
*** আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে অনেক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলেম কুরআনের হাফেজ নন । ফলে যা তা বলে বেড়ান । এ জাতীয় বক্তব্য কখন যে তাঁর জন্য ভয়ানক ও কাল হয়ে দাঁড়ায় , তিনি বুঝে উঠতে পারেননা ।
*** একজন আলেম যদি কুরআনের হাফেজ না হয় , তিনি মারাত্মক সমস্যা করতে পারেন । At the same time একজন হাফেজে কুরআন যদি আলেম না হয়ে বক্তা হয়ে যান , তিনিও ইসলামের জন্য বিষতুল্য ।
*** UAE তে অনেক ইমাম সাহেব আছেন , যারা কেবলমাত্র হাফেজে কুরআন , তাঁদেরকে কোন বক্তব্য / খোৎবা দেয়া সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ । অনুরুপভাবে হাফেজবিহীন আলেমদেরকেও সুযোগ দেয়া হয়না ।
*** আলেম সমাজ যদি সতর্ক না হয় , তাঁদের ইহ ও পরকাল পুরোপুরি ধ্বংস । পবিত্র কুরআনের হিফজ না থাকার কারণে পীরতন্ত্রবাদ 'র মতো শয়তানিযম বিস্তার লাভ করেছে ।

Mqm Saifullah Mehruzzaman  ভাইয়ের টাইমলাইন থেকে নেওয়া।
[10/10, 1:17 PM] sogoodislam: .......................e........
[10/10, 1:28 PM] ISLAM HOUSE: ✅✅✅

Sunday 9 October 2016

কেয়ামতের পূর্বে মুসলিমরা মূর্তি পুজা করবে

কেয়ামতের পূর্বে মুসলিমরা মূর্তি পুজা করবে
(১) আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ ‘‘কিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ ‘যুল-খালাসার’ পাশে দাওস গোত্রের মহিলারা কোমর দুলিয়ে নাচবে।’’ সহীহ বুখারীঃ ৭১১৬; সহীহ মুসলিমঃ ৭১৯০।
নোটঃ যুল-খালাসাহ হল দাওস গোত্রের মূর্তি। ইয়ামানের যুলখালাস নামক স্থানে দাওস বংশের এই মূর্তি ছিল, কোন বর্ণনায় এই স্থানের নাম তাবালাহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞতার যুগে তারা এই মূর্তির ইবাদত করতো, সেখানে তাওয়াফ (চক্কর) দেয়া হতো।
(২) মুসলিমদের কোনো কোনো বংশ মূর্তি পূজা আরম্ভ করবে আর কিছু সংখ্যক মুশরিকদের সাথে মিলে যাবে। রাসুল (সাঃ) এর আযাদকৃত দাস সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘‘আমি আমার উম্মাতের ব্যাপারে পথভ্রষ্ট ইমাম বা নেতাদেরকে ভয় করছি। অচিরেই আমার উম্মাতের কোনো কোনো গোত্র বা সম্প্রদায় প্রতিমা পূজায় লিপ্ত হবে, এবং আমার উম্মতের কতগুলো গোত্র মুশরিকদের সাথে যোগ দিবে।’’ সুনানে আবু দাউদঃ ৪২৫২; সুনানে ইবনু মাযাহঃ ৩৯৫২; শায়খ নাসির উদ্দিন আলবানি (রহঃ) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
(৩) কেয়ামতের পূর্বে ‘লাত’ ও ‘উজ্জার’ পূজা এমনভাবে শুরু হবে যেইভাবে জাহেলিয়াতের সুময় (অন্ধকার যুগে) প্রচলিত ছিল। আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, ‘‘রাত ও দিন শেষ হবে না, যতক্ষন না লাত ও উযযা দেবতার পূজা আবার শুরু করা হবে। এ কথা শুনে আমি (আয়িশায় রাঃ) বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ নাযিল করেছেন, ‘‘তিনি তাঁর রাসুলকে পাঠিয়েছেন হিদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে, সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করার জন্য, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।’’ সুরা আত-তাওবাঃ৩৩। এই আয়াত নাযিলের পর আমি (আয়িশাহ) তো মনে করেছিলাম যে, এ প্রতিশ্রুতি পূরন করা হবে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ ‘‘তা অবশ্যই হবে। তবে যতদিন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন ততদিন পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। অতঃপর তিনি এক মনোরম বাতাস প্রেরন করবেন। ফলে যাদের অন্তরে সরিষার দানা পরিমান ঈমান আছে তাদের প্রত্যেকেই মৃত্যুবরণ করবে। পরিশেষে যাদের মাঝে কোন কল্যাণ (অর্থাৎ, ঈমান) নেই তারাই শুধু বেঁচে থাকবে। অতঃপর তারা আবার পিতৃ-পুরুষদের ধর্মের (শিরকের) দিকে ফিরে যাবে।’’ সহীহ মুসলিমঃ ৭১৯১ (৫২/২৯০৭)।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে এবং আমাদের পরিবারকে প্রকাশ্য ও গোপন, নামে ও বেনামে সকল ধরনের মূর্তি পূজা এবং যাবতীয় শিরকি কর্মকাণ্ড থেকে হেফাযত করুন (আমিন)।

#Shahab_Babu